মহেশপুর উপজেলা খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলার একটি উপজেলা। মহেশপুর উপজেলার আয়তন ৪১৯.৫৩ বর্গ কিঃমিঃ। এই উপজেলার উত্তর দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলা ও জীবননগর উপজেলা, দক্ষিন দিকে চৌগাছা উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব দিকে চৌগাছা উপজেলা এবং পশ্চিম দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। মহেশপুর উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

হৃদয়ে ৭১

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ঝিনাইদহ সফর ' ১৯৭১

১৯৭১ সালের ফেব্র“য়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঝিনাইদহ সফরের পর পরই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রস্তুতি পর্ব।

মধ্য ফেব্র“য়ারির এ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির পথ ধরেই ঝিনাইদহে প্রথম শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। পরবর্তী সময়ে যা রূপ নেয় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম। ১৬ ফেব্র“য়ারি ঝিনাইদহপাকহানাদার কবলিত হয় এবং ৬ ডিসেম্বর পাকহানাদারের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত করা হয় ঝিনাইদহকে।


মুক্তিযুদ্ধে ঝিনাইদহের ভূমিকা

অসহযোগ প্রস্তুতিপর্ব, প্রতিরোধ, গেরিলা আক্রমণ ও শেষে সম্মুখ সমরে বিজয় অর্জন, ১৯৭১ সালের এই ৪টি পর্যায়ের মুক্তিযুদ্ধে ঝিনাইদহের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সম্মুখ সমর সহ বেশ কয়েকটি গেরিলা যুদ্ধ ও অভিযান সংগঠিত হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ সালে ঝিনাইদহ পাকহানাদার কবলিত হয় । তবে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও বহু মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের মাটি হতে পাক হানাদার বিতাড়িত হয়। ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ হয় মুক্ত। যশোর ক্যান্টনমেন্টে জিওসি প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালিয়ে ছিল ঝিনাইদহে সর্বাধিক। শহরের দোকানপাট ভস্মিভুত হয়েছিল, ধুলিসাৎ হয়েছিল বাড়িঘর। গ্রামগঞ্জে আগুন জ্বালিয়েছিল দাউ দাউ করে। সংঘঠিত হয়েছিল একাধিক যুদ্ধ ও ঘটনা। এ দিবসকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহন করেছে।

২৮ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ও ব্যারিষ্টার আহমেদুল ইসলাম ছদ্দবেশ নিয়ে ঝিনাইদহে রাত্রী যাপন করেন। ১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভারী কামান ও মেশিনগানে সজ্জিত হয়ে এক সশস্ত্র কনভয় বিষয়খালীর কাছে বেগবর্তী নদীর তীরে সম্মুখযুদ্ধ হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ বিজয়ের গৌরবে প্রথম মাইল ফলক স্থাপন করে বিষয়খালি যুদ্ধে। ১৬ এপ্রিল সাড়াশি আক্রমনে ঝিনাইদহের পতন ঘটে। এ সময় ৪ আগষ্ট আলফাপুরের যুদ্ধ, ১৪ অক্টোবর আবাইপুর যুদ্ধ, ২৭ নভেম্বর কামান্নার ট্রাজেডিসহ বেশ কয়েকটি গেরিলা যুদ্ধ সংগঠিত হয়। কামান্নায় ২৭ নভেম্বর পাকহানাদাররা ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। ১৪ অক্টোবর আবাইপুরের যুদ্ধে ৪১জন মুক্তিযোদ্ধা, আলফাপুরের যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ২ ক্যাপ্টেন, ৩ সিপাহী সহ ৪ রাজাকার নিহত হয়। ঝিনাইদহের অন্যতম আবাইপুর যুদ্ধের একাধিক গণকবর আজও অরক্ষিত।

বিজয় শুধু আনন্দ নিয়েই আসে না। আনে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েও। আর তাই গণহত্যাসহ অসংখ্য নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনার কথা স্মরন করে শহীদের স্বজনেরা চোখের জল মোছেন। আজও শিহরিত হন-আতঙ্কিত হন। মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধারা যেন সব সময় সঠিক মর্যাদা পান বিজয়ের ৪০ বছর পরে ও সেই একই দাবীর কথা বার বার আমাদের স্মরন করিয়ে দিচ্ছে তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার দাবি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডের।


৬ ডিসেম্বর :: ঝিনাইদহ মুক্ত দিবস

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। ঝিনাইদহ মুক্ত দিবস। এ দিন ঝিনাইদহ শত্র“মুক্ত হয়। ঝিনাইদহের বীর সন্তানেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এ দিন ঝিনাইদহকে শত্র“মুক্ত করেছিল। তাই বাঙ্গালীর স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ বাসীর এ দিনের গৌরবময় ভূমিকা সমগ্র জাতি শ্রদ্ধার সাথে চির দিন স্মরণ করবে।

অসহযোগ, প্রতিরোধ, আক্রমণ, সম্মুখ যুদ্ধ সবশেষে বিজয় অর্জন সব ক্ষেত্রেই ঝিনাইদহবাসীর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ঝিনাইদহকে করায়ত্ব করতে সশস্ত্র হানাদার পাকবাহিনীকে যে পরিমাণ ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছিল অন্যান্য স্থানে তত ক্ষতি স্বীকার করতে হয়নি বলে ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়। এখানে সম্মুখ যুদ্ধ সহ বেশ কয়েকটি গেরিলা যুদ্ধ সংগঠিত হয়।

ঝিনাইদহের পতন ঘটাতে যেমন বিলম্ব হয়েছিল পাক হানাদার বাহিনীর তেমনি ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত হয়েছিল অতি দ্রুত। ১৯৭১ সালের ফেব্র“য়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঝিনাইদহ সফরের পর পরই শুরু হয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রস্তুতি পর্ব। মধ্য ফেব্র“য়ারীর এই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির পথ ধরেই ঝিনাইদহে প্রথম শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। পরবর্তী সময়ে যা রূপ নেয় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম।১৬ ফেব্র“য়ারী ১৯৭১ সালে ঝিনাইদহ পাকহানাদার কবলিত হয় এবং ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকহানাদারের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত করা হয় ঝিনাইদহকে। পাকবাহিনীর সশস্ত্র তিন প্ল¬াটুন সৈন্যের কনভয় যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়েছিল মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধ ব্যুহ ভেদ করতে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই আর যশোর ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যেতে পারেনি। তাই যশোর ক্যান্টনমেন্টের জিওসি ঝিনাইদহ বাসীর উপরে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালিয়ে ছিল সর্বাধিক। ফলে মহকুমা শহরের দোকানপাট ভস্মিভুত হয়েছিল, ধুলিসাৎ হয়েছিল বাড়িঘর। প্রধান সড়কের আশে পাশে গ্রামগঞ্জে আগুন জ্বালিয়েছিল দাউ দাউ করে। সংগঠিত হয়েছিল একাধিক প্রতিরোধ যুদ্ধ।স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন, সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন সহ ঝিনাইদহের মুক্তিকামী ছাত্র জনতা অসহযোগ আন্দোলন ও প্রতিরোধ সংগ্রামে সর্বস্তরের জনগণকে সংঘবদ্ধ ও সম্পৃক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১১ই মার্চ থেকে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে মহকুমা সদর সহ ৬টি থানায় চলতে থাকে সার্বিক প্রস্তুতি। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকবাহিনীর আক্রমণের খবরে ঝিনাইদহের নেতৃবৃন্দ এস.ডি.পি.ও মাহাবুব উদ্দিনের সাথে বৈঠকে বসেন এবং থানার অস্ত্রাগার খুলে দেওয়া হয়। পুলিশ-আনসার সহ জনতার মাঝে ৪ শতাধিক রাইফেলস ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে ট্রেনিং করানো হয়। আহবান জানানো হয় সংগ্রামের।

এদিকে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে সামরিক কনভয়ের অগ্রযাত্রা ঝিনাইদহের নিকটবর্তী হলে এস.ডি.পি.ও মাহাবুব উদ্দিন তার পুলিশ দল ও সহযোগীদের নিয়ে গোটা ঝিনাইদহের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন এবং কৌশলগত আত্মগোপন করেন। পাকসেনারা কারো হদিস না পেয়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। প্রতিরোধ সংগ্রামে গর্ত খুড়ে ফাঁদ তৈরী, মহাসড়কে গাছের গুড়ি, তেলের ড্রাম প্রভৃতি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। ২৮ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ও ব্যারিষ্টার আহমেদুল ইসলাম ছদ্মবেশে ঝিনাইদহে রাত্রী যাপন করেন। পরদিন এস.ডি.পি.ও মাহাবুব উদ্দিনের সহায়তায় মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন।

১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভারী কামান ও মেশিনগানে সজ্জিত হয়ে এক সশস্ত্র কনভয় ঝিনাইদহের বারো বাজার ও কালীগঞ্জ দখল করে মহকুমা শহরের দিকে এগিয়ে আসে। এখানে মুক্তিকামী জনতা পাকবাহিনীকে বাঁধা দেয়। বিষয়খালীর কাছে বেগবর্তী নদীর দক্ষিণ তীরে দুপুর ১টার দিকে উভয়পক্ষ সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন যশোর সেনানিবাস ফেরত ইপিআর ও বেঙ্গল রেজিমেন্টের জোয়ানরা, আনসার বাহিনীর সদস্য এবং মুক্তিপাগল হাজার হাজার ছাত্র জনতা। এই যুদ্ধে নেতৃত্বে দেন এস.ডি.পি.ও মাহাবুব উদ্দিন। অসিম সাহসের কাছে হানাদার বাহিনীর কামানের গোলা ব্যর্থ হয়ে যায়। তারা বাধ্য হয়ে ফিরে যায় ক্যান্টনমেন্টে। ঝিনাইদহ থাকে মুক্ত এলাকা। এ দিন বিষয়খালী যুদ্ধে নিহত হন দুঃখী মাহামুদ, সদর উদ্দিন, আব্দুল কুদ্দুস, খলিলুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, নজির উদ্দিন, এনামুল হক ও কাজী বদিউল ইসলাম। ঝিনাইদহের অমিত তেজি দামাল তরুন দল বাংলাদেশের ইতিহাসে যুদ্ধ বিজয়ের গৌরবে প্রথম মাইল ফলক স্থাপন করে বিষয়খালী যুদ্ধে। এ যুদ্ধের কাহিনী প্রথম বিদেশী রেডিও বিবিসি, ফরাসি বার্তা সংস্থা, অস্ট্রেলিয়া রেডিও, এবিসিসহ বিশ্বব্যাপী প্রচার মাধ্যম গুলোতে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়।এই যুদ্ধের পর ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহের দিকে প্রায় ৩০জন পাকসেনা ৩টি জীপে ঝিনাইদহের দিকে আসার খবর আসে। তখন মহাকুমা সদরের শৈলকূপা থানার গাড়াগঞ্জ কুমার নদের ব্রীজের দুইপাড়ে পাকা রাস্তার উপর গর্ত খুঁড়ে চাটাই বিছিয়ে আলকাতরা লেপন করে পজিশন নেয় শতশত মুক্তিপাগল জনতা। দ্রুত গতিতে জীপগুলি আসার পথে খাদে পড়ে যায়। হতবিহ্বল সেনারা পালাতে চেষ্টা করেলে জনতা জয়বাংলা শে¬াগান দিয়ে তাদের বেশিরভাগকে ধরে ফেলে এবং হত্যা করে। এখানে ধরা পড়ে লে. আতাউল্যা শাহ। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশায় তাকে হত্যা না করে ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার দায়িত্ব প্রাপ্ত ইপিআর মেজর ওসমানের কাছে পাঠানো হয়। যুদ্ধের এ পর্যায়ে সমন্বয় সাধনের জন্য ঢাকা থেকে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা এম.এন.এ কামরুজ্জামান। বিষয়খালী যুদ্ধের পরই মুলত পাক হানাদার বাহিনী ঝিনাইদহের উপর সাড়াশী আক্রমণ চালায়।

১৩ এপ্রিল পযর্ন্ত ঝিনাইদহ থাকে মুক্ত এলাকা। তবে অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। ১৬ এপ্রিল সাড়াশী আক্রমণে ঝিনাইদহের পতন ঘটে। পাকবাহিনী ঝিনাইদহ দখল নেওয়ার পর পাক শাসকদের তৈরী শান্তি কমিটি, আলবদর ও আলসামস বাহিনী গঠন করা হয়। এ বাহিনীতে যোগ দেয় এ দেশেরই সুবিধাবাদীরা। এ সময় ৪ আগষ্ট আলফাপুরের যুদ্ধ, ১৪ অক্টোবর আবাইপুর যুদ্ধ, ২৭ নভেম্বর কামান্নার ট্রাজেডিসহ বেশ কয়েকটি গেরিলা যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ঝিনাইদহের কামান্নায় ২৭ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় অতর্কিত আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতা নজরুল ইসলাম সহ ২৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। অপরদিকে ভুল ইনফরমেশনে ১৪ অক্টোবর আবাইপুরের যুদ্ধে ৪১জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এদিকে আলফাপুরের যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ২ ক্যাপ্টেন, ৩ সিপাহী সহ ৪ রাজাকার নিহত হয়।

১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একদিকে গেরিলা যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করে অপর দিকে ভারতীয় মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং মুক্ত এলাকা সৃষ্টি করে। ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করে। দেশ স্বাধীন হবার আগেই ঝিনাইদহ স্বাধীন হয়। যে ঝিনাইদহ প্রথম সম্মূখ সমরে বিষয়খালী যুদ্ধে জয় লাভ করে সেই ঝিনাইদহ সমগ্র দেশ স্বাধীনতা লাভের আগেই স্বাধীনতা লাভ করে