মহেশপুর উপজেলা খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলার একটি উপজেলা। মহেশপুর উপজেলার আয়তন ৪১৯.৫৩ বর্গ কিঃমিঃ। এই উপজেলার উত্তর দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলা ও জীবননগর উপজেলা, দক্ষিন দিকে চৌগাছা উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব দিকে চৌগাছা উপজেলা এবং পশ্চিম দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। মহেশপুর উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

শিক্ষালয়

 কলেজের তালিকা

মহেশপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ
মহেশপুর মহিলা কলেজ
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কলেজ
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কলেজ
পদ্মপুকুর ডিগ্রী কলেজ




স্কুলের তালিকা

মহেশপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
মহেশপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে মহেশপুর দ্বিমুখী বিদ্যালয়টি অবস্থিত। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতবর্ষে ইংরেজী শিক্ষার ব্যাপক প্রসারতা লাভ করে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন ইংরেজী cÖfvevwš^Z তৎকালীন জমিদার সমপ্রদায়গণ। তাদেরই প্রচেষ্টায় ১৮৬৩ সালে উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় হিসাবে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সময় বিদ্যালয়টির যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করতেন স্থানীয় জমিদারগণ। এই সকল জমিদারগণের পরিচয় সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। এর পরবর্তী র্পযায়ে ১৯৪৭ সালের পরে বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্যে বিশেষ অবদান রাখেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। বর্তমানে ৪.৫২ একর জমির উপর ১৪কক্ষ বিশিষ্ট এল আকৃতির দ্বিতল ভবন, কমিউনিটি স্কুলের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ভবন নিয়ে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়টি মহেশপুর উপজেলার একটি প্রাচীনতম আদর্শ বিদ্যাপীঠ।

মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়
মহেশপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী মহেশপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি মহেশপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে  অবস্থিত। পাকা ভবন নিয়ে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়টি মহেশপুর উপজেলার একটি প্রাচীনতম আদর্শ বিদ্যাপীঠ।



খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মহেশপুর উপজেলার কালিগঞ্জ জীবন নগর সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে খালিশপুর বাজারের অদূরে এক মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। তৎকালীন জমিদারের কর্মচারীদের এবং এলাকার জন-সাধারণের ছেলেমেয়েদের ¯^í পরিসরে জ্ঞানদানের লক্ষ্যে মধ্য ইংরেজী (এম,ই) স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সময় স্কুলের  যাবতীয় খরচ জমিদার বাবু বহন করতেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি জমিদার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত (এম.ই) স্কুলের পুরাতন ভবনটি পরিত্যাগ করে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ঐ পুরাতন ভবনটিতে একটি দাখিল মাদ্রাসার শ্রেণী কার্যক্রম চালু করা হয়। এই সময় বিদ্যালয়টিতে কোন মুসলিম শিক্ষক না থাকায় ১৯০০ সালের প্রথম দিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবদুল হামিদ খান নামক একজন মুসলিম শিক্ষককে নিয়োগ করেন। কিছুদিন পর তার পরিবর্তে আবদুল গফুরকে নিয়োগ করা হয়। তিনি আজীবন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। বিদ্যালয়টির উন্নয়ন হতে থাকে এবং ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি ৪.১৫ একর জমির উপর ২টি পাকা ও ২টি আধা পাকা ভবন নিয়ে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের সন্মৃখে একটি সুন্দর খেলার মাঠ আছে। বিদ্যালয়টি মহেশপুর উপজেলার একটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ।